কমেছে কীটনাশক ব্যবহার,সুফল ভোগ করবে কৃষক

উখিয়ায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে পার্চিং পদ্ধতি!

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :

উখিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধকরনের মাধ্যমে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের প্রায় ধানক্ষেতে পোঁকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পাচিং কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কৃষকেরা ধান ক্ষেতে পোঁকার আক্রমণ থেকে রক্ষার্থে নিজ থেকে খুঁটি স্হাপন করেছে।

এই পদ্ধতি চালু করার ফলে ক্ষেতে বিষাক্ত কীটনাশকের ব্যবহার অনেকাংশে কমেছে।এতে কৃষকের অতিরিক্ত ব্যায়ও কমেছে।

উখিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিজাম উদ্দিন জানান,বোরো মৌসুমে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে প্রায় ৬৪৫০ হেক্টর জমিতে এ বছর বোরোধান চাষাবাদ করা হয়েছে।

পার্চিং করার কারনে উপজেলার প্রায় দশ হাজার কৃষক সফুল ভোগ করবে।

পার্চিং নিয়ে রত্নাপালং ইউনিয়নের ছাদৃকাটা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলমগীর জানান, লাইনে সারিবদ্ধভাবে ধানের চারা রোপন করে জমিতে খুঁটি পুঁতে দিতে হয়।পুঁতে দেওয়া জমিতে একশ্রেণির পাখি বসে অপকারী পোঁকা খেয়ে পেলে। যার কারনে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়না।

পশ্চিম মরিচ্যার কৃষক ফরিদুল আলম জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক পদ্বতিতে চাষাবাদ করে তিনি উপকৃত হয়েছেন।

পার্চিং কার্যক্রম সহ উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মযজ্ঞ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিজাম উদ্দিন জানান, আমরা কৃষকের দৌড়ঘোড়ায় সেবা দিতে প্রস্তুত।

প্রতি একর বোরো ক্ষেতে পোঁকা দমনে প্রায় আড়াই হাজার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ঐ পরিমাণ চাষে অল্প টাকারয় ৫০ টি খুঁটি স্হাপন করে পোঁকা দমন সম্ভব।

তিনি আরও জানান, মাঠ পযার্য়ে প্রশিক্ষন ও কৃষক/কৃষানীদের নিয়ে উঠানবৈঠকের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারনা, কীটনাশকের পরিবর্তে পাচিং, লাইনে রোপন, নতুন নতুন ধানের জাতের চাষাবাদ করতে ধারণা দেয়া হচ্ছে।